পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে জানিয়েছেন, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের দিন তিনি কীভাবে সেনানিবাসে আশ্রয় নিয়েছিলেন।
মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) আদালত সূত্রে তার জবানবন্দির নথির তথ্য জানা যায়। এতে উল্লেখ আছে, ১৯ জুলাই থেকে প্রতিদিন রাতেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের বাসভবনে বৈঠক হতো। ওই বৈঠকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দুজন সচিব, এসবির প্রধান মনিরুল ইসলাম, ডিবির হারুন অর রশীদ, র্যাব মহাপরিচালক, আনসার ডিজি, এনটিএমসি প্রধান জিয়াউল আহসানসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকতেন। এ বৈঠক থেকেই আন্দোলন দমন, সমন্বয়কদের আটকসহ বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গৃহীত হতো।
জবানবন্দিতে মামুন জানান, কোর কমিটির এক বৈঠকে আন্দোলনের ছয় সমন্বয়ককে আটক করে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয় এবং তাদের ওপর মানসিক চাপ প্রয়োগ করে গণমাধ্যমে বিবৃতি দিতে বাধ্য করা হয়। ডিএমপি’র গোয়েন্দা প্রধান হারুনকে ‘জিন’ বলে সম্বোধন করতেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, কারণ তাকে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে সবচেয়ে কার্যকর ব্যক্তি হিসেবে বিবেচনা করা হতো।
সরকার পতনের দিন (৫ আগস্ট) বিকেলে একটি হেলিকপ্টার আসে পুলিশ হেডকোয়ার্টারে। সেই হেলিকপ্টারে করে মামুন তেজগাঁও বিমানবন্দরে যান এবং সেখান থেকে সেনানিবাসে আশ্রয় নেন বলে জবানবন্দিতে উল্লেখ করেন।
এর আগে, ১০ জুলাই মানবতাবিরোধী অপরাধের দায় স্বীকার করেন সাবেক আইজিপি। ট্রাইব্যুনালের সামনে বিস্তারিত তুলে ধরার ইচ্ছা প্রকাশ করে তিনি রাজসাক্ষী হতে চান এবং পরে ট্রাইব্যুনাল তার আবেদন মঞ্জুর করে। একইসঙ্গে তাকে কারাগারে নিরাপদ পৃথক কক্ষে রাখার নির্দেশও দেওয়া হয়।